চালকের অসাবধানতাই সড়ক দূঘটনার প্রধান কারন
চালকের অসাবধানতাই সড়ক দূঘটনার প্রধান কারন
সড়ক দূঘটনা একটি প্রতিদিনকার খবর। আমরা বিভিন্ন সংবাদ পত্রে ও t.v চোখ রাখলে তা দেখতে পারি। সড়ক দূঘটনার জন্য কী শুধু চালক দায়ি?। না কখনো আমরা চালকের অসাবধানতাই সড়ক দূঘটনার প্রধান কারন হিসাবে ধরা যাবেনা কিন্তু একদম য়ে চালকের দোষ খাকেনা তাও আবার না।
কয়েক টি কারণ
১)রাস্তাঘাটের সল্পতা
২)রাস্তার উপর নির্মাণকাজের বিভিন্ন জিনিষপত্র রাখা
৩) ফুটপাতের মধ্যে বাজার ও দোকান বসানো
৪) ট্রাফিক আইন না মানা
এবার কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবেদন দেখা য়াক
ব্র্যাকের এক গবেষণা বলছে, আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী রাজধানীর সড়কগুলোতে ২ লাখ ১৬ হাজার যানবাহন চলতে পারে। ঢাকায় চলছে প্রায় পাঁচগুণ বেশি। তাছাড়া দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেটকারের ৭৫ শতাংশ চলছে রাজধানীতে। অথচ এসবে যাতায়াত করছে মাত্র ৮ ভাগ যাত্রী। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ২১৯টি বাস স্টপেজ এবং বিআরটিসি কর্তৃক অনুমোদিত ২০৮টি বাস রুট রয়েছে। কিন্তু নিজেদের ইচ্ছামতো গাড়ি থামানো হচ্ছে। রাজধানীজুড়েই যেন বাসস্টপেজ। এছাড়া বিআরটিসি ও বেসরকারী মিলিয়ে প্রতিদিন ১২ হাজার বাস/মিনিবাস এই রুটগুলোয় যাত্রী পরিবহন করে থাকে। বাসস্টপেজে বাস না থামিয়ে মূল রাস্তার ওপর যাত্রী ওঠা-নামা করানো হয়।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে দ্রুতগতির বাসে পিষ্ট হয়ে গত ৫ আগস্ট নিহত হন একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা আমির হোসেন। এর দুদিন পর ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আরো তিনজন। দুটি দুর্ঘটনারই কারণ দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো।
শুধু দ্রুতগতি নয়; চালকের মাদক গ্রহণ, সিটবেল্ট না বাঁধা, হেলমেট না ব্যবহার করা এবং শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারকারীরা (চালক, যাত্রী ও পথচারী) রয়েছেন দুর্ঘটনার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ডব্লিউএইচওর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারকারীরা। সংস্থাটির আঞ্চলিক কমিটির ‘রোড সেফটি’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে পাঁচটি প্রধান ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো মৃত্যু রুখতে সরকারী পদক্ষেপ কি পর্যাপ্ত? এ নিয়ে প্রশ্ন তো আছে অনেক আগে থেকেই। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে চলা প্রায় ১০ লাখ পরিবহনের জন্য মাত্র চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের অভিযানে মাত্র ১৫০টি গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। লাইসেন্স না থাকা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোসহ নানা অপরাধে দেয়া হয়েছে ৬২ চালককে জেল। মামলা হয়েছে ৫২৬ জনের বিরুদ্ধে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এ ব্যবস্থাই কি পর্যাপ্ত।গঠনটির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রায় ৪৭ শতাংশ পথচারী। ৫৩ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বেপরোয়া গতি। অবকাঠামোর দুর্বলতা, মহাসড়কে ছোট যানবাহনের চলাচল, ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা রাস্তা, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, যাত্রীদের অসতর্কতা, ট্রাফিক আইন না মানা, বিপদজনক ওভারটেকিং, নছিমন-করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা, মূল সড়কে চলাচল, ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে চালকদের প্রশিক্ষণ, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সেল গঠন, মহাসড়কে দ্রুত ও ধীর গতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেন করা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও রোড সেফটি অডিট করা, সড়ক মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন করা, চালকদের প্রশিক্ষিত করে তোলা, সড়ক-মহাসড়কের, জেব্রা ক্রসিং, ওভারপাস, আন্ডারপাস গড়ে তোলা, ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করা, মহাসড়কে নছিমন-করিমন ও রিকশা জাতীয় পরিবহন বন্ধ করা গেলে প্রাণহানী অর্ধেকে নামিয়ে আনা যাবে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যেসব পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেগুলো খুবই সুনির্দিষ্ট। menu
রাত ০২:৪৩ ; বুধবার ; অক্টোবর ২৫ , ২০১৭
হোমজাতীয়নিউজ
মহাসড়ক যখন মহানরক
শাহেদ শফিক ১২:৩৪ , অক্টোবর ২২ , ২০১৭
Save to Facebook
259
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলা অংশের চিত্র (ফাইল ছবি: প্রতিনিধি)
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কগুলো এখন যেন মহানরকে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এসব সড়ক এখনও নিরাপদ হয়ে ওঠেনি। সড়ক-মহাসড়কে প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় ঝরছে তাজা প্রাণ। যেসব দুর্ঘটনা ঘটছে, তার অর্ধেকই মহাসড়কে। এদিকে, রাজধানী ঢাকায়ও বাড়ছে দুর্ঘটনা।
সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) বলেছে, সড়ক দুর্ঘটনার ৪৩ শতাংশ ঘটে মহাসড়কে। ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য পেয়েছে। সংস্থাটির তথ্য মতে, নিহতদের ৫৪ শতাংশের বয়স ১৬ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। যারা কোনও কোনও পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তি।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে যেখানে প্রতি ১০ হাজার যানবাহনের মধ্যে মাত্র ৩টি দুঘর্টনার কবলে পড়ে, সেখানে বাংলাদেশের হার ৮৫ দশমিক
গত ঈদুল আজহায় সংগঠনটি ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫৪ জন নিহত ও ৬৯৬ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা, ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৩২ দশমিক ৬০ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ দশমিক ৪০ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে, ৩ দশমিক ২০ শতাংশ গাড়ির ছাদ থেকে পড়ে ও ১১ দশমিক ২০ শতাংশ অন্যান্য কারণে ঘটেছে। যানবাহনের ৩৭ ভাগ বাস, ৩৫ ভাগ ট্রাক ও পিকআপ, ২৩ ভাগ নছিমন-করিমন, ভটভটি-ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল, ৫ ভাগ অন্যান্য যানবাহন এসব দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এই হলো বাংলাদেশের সড়ক দূঘটনার আবস্থা।। চলুন সবাই সড়ক দূঘটনা রোধ করি।
সময়ে থেকে জীবনের মূল্য অনেক বেশি
কোন মন্তব্য নেই